শূন্য ভ্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি খুব কঠিন কাজ। এখন পর্যন্ত যারা ভ্যাট সংগ্রহ করেন তারাই বলতে পারবেন না যে এখানে কতটা ভ্যাট নেওয়া প্রয়োজন। কারণ ভ্যাটের নিয়মই হলো বিভিন্ন রূপান্তরের পর্যায়ে কতোটা ভেল্যু যোগ করছে তার ওপরে কর বসাতে হবে। এ প্রক্রিয়া তো আমরা জানি না। সে জন্যই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে থোক ভ্যাট আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে আমরা যদি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারি যে এই পণ্যগুলো প্রকৃতির দান ও এমন কিছু পণ্য যদি আমরা খুঁজে বের করতে পারি, যা সত্যি সত্যি জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। সেই নীতিতে নির্দিষ্ট বছরের জন্য ভ্যাট থেকে রেহাই নেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
প্রভা অরোরার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিধান চন্দ্র পাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই সব পণ্য খুঁজে বের করে মানুষের জীবনধারাকে সুস্থ ও পরিবেশসমুন্নত পথে পরিচালিত করে তোলাটা সবুজ সাথী ও ইকো ফ্রেন্ডলি সেন্টারের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে।
তিনি বলেন, এই সেন্টার শুরু থেকেই ই-কমার্স সাইটে যাত্রা শুরু করলেও আগামী মাস থেকে বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে এই সেন্টারের পণ্য ই-কুরিয়ারের মাধ্যমে নিজের ঘরে বসেই অর্ডার করে কিনতে পারবেন। আপাতত মোহাম্মদপুরের যে কোনো এলাকা থেকে অর্ডার করা হলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রভা অরোরার উপদেষ্টা ডা. আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শস্য প্রবর্তনার প্রধান নির্বাহী ফরিদা আখতার, বিশিষ্ট স্থপতি সালমা এ শফি, উন্নয়নকর্মী ডালিয়া দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে সঙ্গীত পরিবেশন করেন লিপিকা তাপসী, এমডি আরাফাত আল মামুন প্রমুখ।